ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, যথাযথ শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে না পারলে ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তাদের টিকে থাকা কঠিন হবে। তিনি বলেন, আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা মেধাবী ও সৃজনশীল, তাদের কাছে অসাধ্য বলে কিছু নেই। তাদেরকে আগামীদিনের উপযোগী করে তৈরি করতে সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এই ব্যাপারে শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী গতকাল ঢাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবিএটি এর ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে এটি হবে আমাদের জন্য একটি কঠিন সংকট। এই সংকটের দায় আমাদেরকেই বহন করতে হবে। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে এই দায় মুক্ত করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ, কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণসহ যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তিনি আইওটি ও ইউপিইউ এর সদস্যপদ অর্জন, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন এবং বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে তৃতীয় শিল্পবিপ্লবে অংশ গ্রহণের অভিযাত্রা শুরু করেন। দীর্ঘ ২১ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশে প্রযুক্তি বিকাশে যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ ডিজিটাল শিল্পবিপ্লবের মাধ্যমে উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফাইভ-জি প্রযুক্তি যুগে প্রবেশ করেছে। এই প্রযুক্তি মৎস্য ও কৃষিতে ব্যাপকভাবে কাজে লাগানোর মাধ্যমে শিল্প ক্ষেত্রের পাশাপাশি কৃষিতে বিস্ময়কর রূপান্তর সম্ভব বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।